অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দপ্তরী কর্তৃক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলার পাশাপাশি শিক্ষা অফিস ও স্কুলের পক্ষ থেকে পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ও পুলিশের সামনে অভিযুক্তর বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন। ভিক্টিমকে জবানবন্দী প্রদানের জন্য আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান পৃথকভাবে গতকাল মঙ্গলবার সকালে তদন্তে গেলে ওই কর্মকর্তাদের সামনে অভিযুক্ত দপ্তরী আমিনুলের বিচরের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিকে ঘটনা তদন্তে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম তালুকদার ৮ মে রবিবার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল গাজী ও চুন্নু ফকিরকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি দুই কার্যদিবসে রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা থাকলেও গতকাল মঙ্গলবার অফিস চলাকালীন সময়ে তারা রিপোর্ট জমা দেননি বলে জানান শিক্ষা অফিসার। অন্যদিকে নাঘিরপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৮ মে স্কুলের সভাপতি ইসহাক অধিকারীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন- সহকারী শিক্ষিকা রাবেয়া খানম ও অভিভাবক সদস্য জুলেখা বেগম। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণ চন্দ্র হালদার বলেন, স্কুলের গঠিত কমিটিও গতকাল পর্যন্ত তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেননি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান ভিক্টিমকে ১২২ ধারায় জবানব›ঈ প্রদানের জন্য আদালতে প্রেরণ করেছেন। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল গাজী জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয়া হবে।
উল্লে¬খ্য, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের নাঘিরপাড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে একা পেয়ে গত শনিবার ৭ মে খুব সকালে স্কুল কম্পাউন্ডের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী সোমাইরপাড় গ্রামের আলমগীর খানের ছেলে আমিনুল (২৮) জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এঘটনায় ৮ মে রবিবার স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিচারের দাবিতে মিছিল করে অভিযুক্ত আমিনুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। ওই রাতেই ভিক্টিমের কাকা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।